হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া::
সারা দেশের ন্যায় জগন্নাথপুরে ও কোভিট-১৯ এর সংক্রমনরোধে সরকার ঘোষিত টানা লকডাউন চলছে। লকডাউনে জগন্নাথপুর উপজেলার জন-জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে । এ উপজেলার হাট বাজার, দোকান গুলো জন শুন্য প্রায়, বিক্রেতার দোকান খুলে বসলে ও নেই ক্রেতার উপস্থিতি। লকডাউনে শ্রমজীবি, কর্মজীবি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষ গুলো পড়েছে চরম বিপাকে। একদিকে করোনা আতংঙ্ক, অপর দিকে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চিন্তা । কবে নাগাদ স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে তা নিয়ে চলছে সংশয়, আবেগ-উৎকন্ঠা। অর্থাভাবে অনেক পরিবারের পবিত্র রমজান মাসে চলছে হা হা কার। রিকশা, ব্যাটারী চালিত ভ্যান ও ইজি বাইক চালক, টমটম চালক , মিশুক চালক জগন্নাথপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে তালিকা ভুক্ত শত শত শ্রমিক, দোকান-শো-রুমের কর্মচারীগণ সহ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।দোকানে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল থাকলেও নিজ পরিবারের নিত্য নৈমিত্তিক চাহিদা পূরণে হিমসিম খাচ্ছে অনেক ব্যবসায়ী। গত বছরে করোনা কালীন সময়ে অনেক প্রবাসী ধণাঢ্য ব্যক্তি, এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ালেও এ বছর তাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সামনে ঈদুল ফিতর। হতাশাগ্রস্থ পরিবার গুলো অভাব অনাটনের কারণে পড়েছে চরম বিপাকে। এদিকে চাউলের বাজার মুল্য উর্দ্ধমুখী থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ইতি মধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হলেও চাউলের বাজারে ইতি বাচক প্রভাব পড়েনি। সার্বিক অবস্থায় বিপন্ন জনগোষ্ঠির কল্যাণে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার নিকট দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা। জগন্নাথপুর বাজার তদারক কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: জাহির উদ্দিন জানান, আমরা ব্যবসায়ীরা চরম দূর্ভোগে আছি। সংক্রমন রোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ স্বাগত জানাই। তার পরেও আসন্ন ঈদ আমাদের গোটা বছরের ব্যবসার একমাত্র অবলম্বন। তাই ব্যবসায়ী স্বার্থ রক্ষার্থে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকল দোকান পাট খোলা রাখার আকুল আবেদন করছি। এদিকে সিএনজি চালক বাবলু মিয়া অটোরিকশা মিশুকে চালক হবিবুল্লা, জাফর, সহিদ মিয়া, আনফর উল্লাহ জানান আমরা রোজ আনি রোজ খাই এখন সরকার দেশে লকডাউন দিয়েছে আমাদের গাড়ি গুলো চালাতে পারছিনা পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবেনা।
Leave a Reply