মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বিগত ছয় বছরে শেষ হয়নি ভবের বাজার, নয়াবন্দর ও কাঁঠালখাই সড়কের সংস্কার কাজ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) তত্বাবধানে থাকা ভবের বাজার, নয়াবন্দর ও কাঁঠাল খাই রাস্তার সংস্কার কাজ আধো সম্পন্ন হয়নি।
যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী ভবের বাজার, নয়াবন্দর, কাঁঠালখাই সড়কে অপুরনীয় জন দুর্ভোগে ভুগছেন এই এলাকার লোকজন।
ভবের বাজার, নয়াবন্দর, কাঁঠালখাই রাস্তার এলাকার লোকজনের অবর্ননীয় জন দুর্ভোগ দুর করতে এগিয়ে আসেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজ সেবক গীতিকার সৈয়দ দুলাল।
দুইদিন ধরে ভবের বাজার, নয়াবন্দর ও কাঁঠালখাই রাস্তার ছোট বড় গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী গীতিকার সৈয়দ দুলাল। তিনি নিজ দায়িত্বে শ্রমিক দিয়ে গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করায় এলাকাসী ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।
উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের সমাজসেবী সৈয়দ রেজওয়ান আহমেদ বলেন, এই রাস্তাটি জগন্নাথপুর পৌরসভার একাংশ। উক্ত রাস্তাটি সৈয়দপুর শাহারপাড়া ও আশারকান্দি ইউনিয়নের লোকজনের বিভাগীয় শহর, সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় এই এলাকার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সংস্কার কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডির) দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারনে এই এলাকার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের একমাত্র কারন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজ সেবক গীতিকার সৈয়দ দুলাল এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে এগিয়ে আসলে এতে করে এলাকার মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সুনামগঞ্জের টিকাদারী প্রতিষ্টানের সজিব রঞ্জন রায় রাস্তার কাজটি পান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ না হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উক্ত কার্যাদেশ বাতিল ঘোষনা করলে টিকাদারী প্রতিষ্টান সজীব রঞ্জন রায় আইনের আশ্রয় নেন। ২০১৮ সালে আইনের লড়াই শেষ হলে ২০১৯ সালে পুনঃরায় সড়ক সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হলে পদ্মা কনষ্ট্রাকশন ঢাকা সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দে কাজটি পায়। ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারী কাজটি সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এপর্যন্ত সামান্য কাজ করে বাকি রাস্তার কাজ অসমাপ্ত রেখে টিকাদারী প্রতিষ্টান পদ্মা কনষ্ট্রাকশন চলে যায়।
আাশারকান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাত্রনেতা মহিবুর রহমান রাসেল বলেন, ঢাকা-সিলেট মহা-সড়কের গোয়ালা বাজার হয়ে খুব কম সময়ে সিলেট ও ঢাকায় যাতায়াত করা সম্ভব। সড়কটির বিভিন্ন অংশে ছোট বড় গর্ত থাকায় এলাকার মানুষের ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর সিলেট যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মনে হয় যেন টিকাদরী প্রতিষ্টানের কাছে এই এলাকার মানুষ জিম্মি। সৈয়দপুর শাহারপাড়া ও আশারকান্দি ইউনিয়নের লোকজন অভিমত ব্যক্ত করে বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বার বার রাস্তাটি সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ দিলেও টিকাদারী প্রতিষ্টান কাজ বাস্তবায়ন না করে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে রেখেছেন।
সড়ক সংস্কার কাজে এগিয়ে আসা সৈয়দপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজ সেবক গীতিকার সৈয়দ দুলাল ইলেক্ট্রনিক্স সোসাল মিডিয়াদের বলেন, বর্তমানে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে সড়কের বিভিন্ন অংশে সৃষ্ট ছোটবড় গর্ত বরাট করে নিতেছি। তিনি আরো বলেন প্রাথমিক ভাবে রাস্তার গর্তগুলো বরাট করার জন্য ৫০ হাজার টাকার ইটের খোয়া ও বালি ফেলেছি। সরকারী ভাবে সড়কটির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাধ্যমতো তিনি রাস্তার কাজ চালু রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, সড়কের কাজ শেষ করতে আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নাই। টিকাদারী প্রতিষ্টান পদ্মা কনষ্ট্রাকশনের অসহযোগীতার কারনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় আমরা পদ্মা কনষ্ট্রাকশনের সাথে চুক্তি বাতিল করেছি।যথাশীঘ্রই নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে অসমাপ্ত রাস্তার কাজ শেষ করব।
Leave a Reply