মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার::
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গ্রামের সহজ সরল লোকজনদের নিবন্ধন কাজে সহযোগিতায় প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড গুলোতে নিয়োজিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগতাগন।
আজ ৭ আগষ্ঠ শনিবার ২৫ বছর ও তার চেয়ে বেশী বয়সের জাতীয় পরিচয়পত্রধারীদের সকাল ৯ ঘটিকা থেকে উপজেলার সকল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচী চলবে আগামী ১২ আগষ্ট পর্যন্ত।
তবে এই সেবা গ্রহনে ইচ্ছুক ব্যক্তিগনকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারটি সাথে নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসতে হবে। এই কেন্দ্রগুলোতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে যারা পূর্বে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন অথচ ম্যাসেজ পাননি তারাও ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারবেন।
কলকলিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আছদুল হক জানান, আমার ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ন ভাবে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। তার ওয়ার্ডে কতজনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ওয়ার্ডে ২০২ জন টিকা নিয়েছেন।
কলকলিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য লিয়াকত হোসেন অমৃত বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধা পরিবার, বয়স্ক নারী-পুরুষ এবং শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা করোনার ভ্যাকসিন পাবেন। এই কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে ও ভ্যাকসিন কার্ডে পরবর্তী ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ লিখে দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেশকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, সবকটি ওয়ার্ডেই করোনাভাইরাস সংক্রমন টেকাতে সারিবদ্ধভাবে দারিয়ে থাকা টিকা গ্রহনকারীদের দীর্ঘ লম্বা লাইন। ভ্যাকসিন সীমিত থাকার কারনে অনেকেই টিকা নিতে না পারায় বিভিন্ন মন্তব্য করতেও দেখা যায়।
টিকাপ্রদানকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, আপাতত আমরা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০০ শত জনকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসছি। তবে পর্যায়ক্রমে সকলকে টিকার আওতায় আনা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মধু সুদন ধর জানান, জগন্নাথপুরের একটি পৌরসভা এবং ৮ টি ইউনিয়নের ২৬ টি কেন্দ্রে সকাল থেকে টিকাদান চলছে। এসময় তিনি নিজের জীবন সুরক্ষায় সকলকে টিকা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডাক্তার এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে আমরা ৩২ লাখ মানুষকে আমরা আওতায় নিয়ে আসব। তাদের প্রত্যেকের জন্যই দ্বিতীয় ডোজের টিকা সরবরাহ করে রাখা হবে। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচী অব্যাহত রেখে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply