তাহিরপুর প্রতিনিধি::
ইয়াবা কালাম নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ঘিলাচুরা গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিম এর ছেলে । তিনি প্রায় একযোগ ধরে তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত সংলগ্ন লালঘাট গ্রামে শ্বশুরালয়ে বসবাস করছেন। এই সীমান্ত এলাকায় সে ইয়াবা কালাম, হুন্ডি কালাম,সোর্স কালাম সহ বিভিন্ন জনের কাছে এমন বিভিন্ন নামে পরিচিত।
এলাকাবাসীর তথ্য ও বিভিন্ন সূত্রমতে জানাযায় তাহিরপুর সীমান্তের চোরাই চক্রের গডফাদার আলোচিত বিজিবি’র সোর্স পরিচয়দানকারী ইয়াবা কালাম এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা নং -জিআর -২১৫/১৪ইং কয়লা ও মদ পাচাঁর মামলা নং-জিআর-২১৭/১৪ইং, হুন্ডি ও ইয়াবা পাচাঁর মামলা নং-জিআর-১৩৫/১৬ইং সহ মোট ৭টি মামলার জেলখাটা আসামী ইয়াবা কালাম এর নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় একাধিক চোরাইঘাট রয়েছে। এসব চোরাইঘাট দিয়ে তারা ভারত থেকে প্রতিরাত কয়লা,চুনাপাথর,মদ গাঁজা,ইয়াবা,পাচাঁর করছে।আর এসব পাচাঁরকৃত মালামাল হতে বিজিবি সহ বিভিন্ন জনের নাম ভাঙ্গিয়ে নামে-বেনামে টাকা আদায় করছে ওই কথিত বিজিবি’র সোর্স পরিচয়দানকারী ইয়াবা কালাম।তার নেতৃত্বে উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে পাচাঁর হচ্ছে চোরাই পণ্য । ইয়াবা কালামের নেতৃত্বে চোরাকারবারিরা দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।তাহিরপুর সীমান্তের চোরাই চক্রের গডফাদার আলোচিত বিজিবি’র সোর্স পরিচয়দানকারী ইয়াবা কালামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে বহুবার সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়,তার চক্রের সদস্যদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।জানাযায় উপজেলার চোরাচালানের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত লালঘাট সীমান্ত। এই সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে ইয়াবা কালামের নেতৃত্বে প্রতিরাতেই লক্ষ লক্ষ টাকার ভারতীয় চোরাই কয়লা,মদ ইয়াবা পাচাঁর করছে,উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের লাল হোসেন এর ছেলে খোকন,একই গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিব এর ছেলে মানিক মিয়া,একই গ্রামের মৃত আব্দুল মুতালিব মিয়ার ছেলে শহিদুল্লাহ, কালা ফকির এর ছেলে রমজান, একই এলাকার বাঁশতলা গ্রামের মৃত আব্দুল হেলিম মিয়ার ছেলে কুদ্দুস মিয়া।তারা প্রতিদিন অর্ধশতাধিক শ্রমিক ভারত অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়ে, সীমান্তের ভিতর থেকে কয়লা উত্তোলন করে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি কাটা তারের বেড়ার ৯৭নং পিলারের পাশে জঙ্গলের ভিতর মজুদ করে রাখে,এবং গভীর রাতে অন্ধকারে জঙ্গল থেকে কয়লা মদ ইয়াবা বাহির করে সীমান্ত পারাপার করে, সংসার হাওরে রাখা স্টীলবডি /কাটের নৌকা বুঝাই করে পাটলাই নদী দিয়ে কলমাকান্দা নেত্রকোনা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে থাকে।আর এসব কয়লা বুঝাই নৌকা দিয়ে কয়লার ভিতরে করে মদের চালান পাচাঁর করে থাকে। এতে চোরাচালানিদের প্রতিটন কয়লা ও নির্ধারিত পরিমাণ মাদক পাচাঁর করতে ইয়াবা কালাম কে দিতে হয় দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা করে।
জানাযায় গত( ২৩সেপ্টেম্বর)ইয়াবা কালামের নেতৃত্বে তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের কয়লা আমদানি করে করে তিনটি স্টীলবডি নৌকা বুঝাই করে পাচাঁর করার সময় ভোররাতে সমসার হাওর সংলগ্ন পাটলাই নদী হতে, তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির নিয়োগ প্রাপ্ত পাহাড়াদার (সেন্টিরা)আটক করে অদৃশ্য কারণে ছেড়ে দেয়।এর পূর্বে গত (১৪সেপ্টেম্বর)ভোরে চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ১৪মেঃটন চুনাপাথর ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে উপজেলার আনোয়ারপুর এলাকায় পাচাঁর করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনাপাথর ও কয়লা,ওই সমিতির পাহাড়াদার(সেন্টিরা)উপজেলার শ্রীপুর এলাকায় নৌকা বোঝাই পাথর সহ নৌকার মালিক ও মাঝি সোহেল মিয়াকে আটক করে অদৃশ্য কারণে ছেড়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানান সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে ইয়াবা কালাম সহ অনেকেই রাতারাতি অর্থ সম্পদের মালিক, তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চোরাচালানকারী খোকন মিয়া অস্বীকার করে বলেন প্রায় একমাস পূর্বে আমার কয়লা বুঝাই নৌকা সেন্টি সমিতির পাহাড়াদাররা আটক করেছিল ছাড়িয়ে নিয়ে গেছি এরপর থেকে আর চোরাচালান করিনি।
বিজিবি’র সোর্স পরিচয়দানকারী ইয়াবা কালাম এর কাছে জানতে চাইলে উনি অস্বীকার করে বলেন আমি এখন আর এসব করিনি কে কিভাবে চোরাই মালামাল পাচাঁর করছে আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে’ তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবির বলেন এ বিষয়টি আমরাও অবগত এ ব্যাপারে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পিএসসি পরিচালক তসলিমা এহসান গণমাধ্যমকে জানান বিষয়টি শুনতেছি কিন্তু কোন প্রমাণ পাচ্ছি না,বিশাল এলাকা এদিকে ওদিক চলে যায়,সবার সম্মিলিত উদ্যোগ এগুলো দমন করতে হবে।
Leave a Reply