মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার::
বিগত বছরেও সারা দেশে ১৭ ই জুন ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। এবারও এক বছর পর এই দিনে ঝড়োবৃষ্টি হাওয়ায় মানুষ বন্যা আশংকায় প্রকৃতির প্রাকৃতিক রুপের দিকে তাকিয়ে আছে জগন্নাথপুরের মানুষ।
উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন গ্রামের লোকজন জানান,গত বছরের এই দিনে আকস্মিক ঢলে উপজেলাবাসী বন্যা কবলিত হয়ে অনেক কিছু হাড়িয়ে পড়েন।বন্যার প্রবল স্রোতে শত শত বাড়ীঘর, ধান, চাল, গবাদিপশু, হাঁস-মোড়গ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। ঘটেছে নানা প্রাণহাণি। শুকনো জায়গা না পেয়ে অনেক লাশ পানিতে ভাসতে হয়। সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা মনে হলে এখনো আতংন্কে উঠেন লোকজন। তবে এবার বর্ষার ভরা মৌসুমে পানি নেই। জ্যৈষ্ঠ মাসে পানির দেখা না মিললেও আষাঢের শুরুতে ভাটির মানুষ পানি দেখে মানুষ বন্যার আতংন্কে জল্পনা কল্পনা শুরু করেছে । এখনও বন্যার আশঙ্কা কাটছে না মানুষের। বিগত বছরের বন্যা স্থানীয়দের মনে রেখে দিয়েছে শঙ্কা। সেই ভয়াল দিনের মতো আজও রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায়।
৮ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জগন্নাথপুর উপজেলা এ উপজেলায় গত বছর অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ১৬ জুন থেকে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছিল। ১৭ জুন ভোররাতে ভারী বর্ষণ ও অব্যাহত উজানের ঢলে সমগ্র উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলার প্রতিটি গ্রাম, হাটবাজার, রাস্তা-ঘাট। বন্যায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে অচল হয়ে যায় এ উপজেলা। বাসা-বাড়িতে উরু ও বুক সমান পানি উঠে যাওয়ায় হাজার হাজার পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে ভিড় জমান। চারদিকে অথৈ পানিতে জনশূন্য হয়ে পড়ে প্রতিটি গ্রাম।
ত্রাণের জন্য বন্যার্তদের মধ্যে দেখা দেয় হাহাকার ত্রানের খবর শুনলে মানুষ এদিক সে দিক দৌড়ায়। সেইদিনের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি আজও ভুলতে পারেনি লোকজন সে কথা বলতে বলতে চোখ ভিজে যায় ।
উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পিআইও শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া জানান, গেল বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
কলকলিয়া ইউনিয়নের একাধিক লোকজন বলেন, এবছর এই সময়ে পানি কম থাকলেও আষাঢ়ের শুরুতেই অব্যাহত বৃষ্টিপাতে বন্যার শঙ্কা কিছুটা দেখা দিয়েছে। ভাটির জনপদে বর্ষা মৌসুমে সাধারণত বন্যা হয়। এজন্যে শঙ্কা থাকে।
Leave a Reply