স্টাফ রিপোর্টার: জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের বড়ফেচী পূর্বপাড়া জামে মসজিদে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক করোনা ভাইরাস সংক্রমনে সচেতনতামূলক প্রচার ও কার্যক্রম পরিচলনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বাদ আছর প্রতিপক্ষের লোকজন মসজিদের মোতাওয়াল্লী মসহুদ আহমদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামালা চালিয়েছে। এতে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, বড়ফেচী পূর্বপাড়া জামে মসজিদে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রচার-প্রচারনা চালানো হয়। এতে বাঁধা হয়ে দাড়ায় একই গ্রামের বিএনপির মোহাম্মদ আলী খলকুর লোকজন। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির পক্ষে গত ৫ মে মসজিদ কমিটির পক্ষে মোতাওয়াল্লী মো: মসহুদ আহমদ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ জগন্নাথপুর থানা বরাবরে বড়ফেচী গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মো: কাহের মিয়া সহ ৭জনের নাম উল্লেখ পূর্বক এ অভিযোগটি দায়ের করেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র কাহেরের লোকজন শনিবার বাদ আছর মসজিদের মোতাওয়াল্লী মসহুদ আহমদের বাড়ি ও তার ভাই আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান মুরাদের ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা চালায়। মুজিবুর রহমান মুরাদ জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে জনসাধারকে সচেতন করতে আমাদের মসজিদের মাইকে প্রচার-প্রচারনা চালানো হয়। প্রচার প্রচারনা বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমার বড় ভাই মসজিদের মোতাওয়াল্লী মো: মসহুদ আহমদ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ জগন্নাথপুর থানা বরাবরে অভিযোগ দায়েরর করেন। এরই জের ধরে বিএনপির মোহাম্মদ আলী খলকুর নেতৃত্বে কাহের মিয়া, ইন্তাজ মিয়া, শাহেন মিয়া, সুহেন মিয়া, জমির মিয়া, ছামির আলী সহ তার লোকজন আমাদেরকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা চালায়। এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি শান্ত হলেও আবারো উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বড়ফেচী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের মতোওয়াল্লী মসহুদ আহমদ জানান, আমি গত ৫ মে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে জনসচেতনতা মূলক প্রচারনা বিরোধী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিরোদ্ধে ফেইসবুকে ব্যঙ্গ করে পোষ্ট প্রদান সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ জগন্নাথপুর থানা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এবিষয়ে বারবার যোগাযোগের পরও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জগন্নাথপুর অফিসার ইনচার্জ কার্যালয়ে সময় মতো না পৌছায় এধরনের ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply