রিয়াজ রহমান / শাহ কবির মিয়া: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হাট বাজার গুলোতে লকডাউনে থেমে নেই মানুষের অবাদ চলাচল। লকডাউনে ঘরে থাকার বদলে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঈদের কেনাকাটায় জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর সদর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারের মার্কেট বিপনীতে কাপড়ের দোকান, পাইকারি বাজার ও খোলা বাজারে মানুষের ঢল নামে প্রতিদিনই।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কিছুতেই ঈদের কেনাকাটা করতে বাড়ির বাইরে বের হওয়া মানুষদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। ইতোমধ্যে জগন্নাথপুর সহ সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৫জনে দাঁড়িয়েছে।
বিভাগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জগন্নাথপুরের মানুষের মধ্যে এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি সচেতনতা। এ অবস্থা চলতে থাকলে জগন্নাথপুরে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সচেতন মহলের অনেকই জানান, কিছুদিন আগেও মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। ফলে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা কিছুটা কমছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষ আর ঘরবন্দি থাকছে না। এভাবে চলতে থাকলে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
সরেজমিন দেখা যায়, জগন্নাথপুর সদর বাজার , ভবের বাজার, কেশবপুর বাজার, রাণীগঞ্জ বাজার, মীরপুর বাজার, সৈয়দপুর বাজার, নয়াবন্দর বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, শিবগঞ্জ, দাওরাই বাজার, চিলাউড়া বাজার, কলকলিয়াবাজার সহ বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিনই মানুষের ঢল নামছে। তবে বাজারগুলোতে পুরুষের তুলনায় নারীদের সংখ্যাই বেশী।
শনিবার (১৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্যমতে, বিভাগের চার জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে লোকজনের সংখ্যা কমলেও করোনা আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। শুক্রবার পর্যন্ত বিভাগের চার জেলায় আরও ৭৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হলেও বিপরীতে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫৪ জন।
এখনও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১ হাজার ২২৭ জন। আর করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৩৪৫ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ১৩৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৯ জন ও মারা গেছেন ছয় জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সিলেটে ১০১, সুনামগঞ্জে ৬৭, হবিগঞ্জে ১১৮ এবং মৌলভীবাজারে ৫৭ জন।
Leave a Reply