স্টাফ রিপোর্টার: প্রবাসে অবস্থান করেও দেশের অর্থাৎ নিজ এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্টান গড়ার পাশাপাশি অসহায় দরিদ্রদের কল্যনে কাজ করে ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন আলহাজ্ব মো: সাজন মিয়া। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত আজর শাহ্র ৩য় পুত্র। তিনি ১৯৮২সালে স্বপরিবারে লন্ডনে পাড়ি জমান। তিনি উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের রতিয়ারপাড়া সারেং বাড়ির হাজি আবু বক্করের মেয়ে ফাতেমা বেগমকে বিবাহ করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তান রয়েছেন। প্রচার বিমূখ সাজন মিয়া তার জীবনের বেশীর ভাগ সময়ই এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন সহ অসহায় দরিদ্রদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তিনি লন্ডনে মসজিদ ¯িøফোর্ড ইসলামিক সেন্টারের অন্যতম ফাউন্ডার। তিনি ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে প্রায় ৩০লাখ টাকা ব্যায়ে মসজিদ নির্মানের পাশাপাশি প্রতিবছর জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ঐ ওয়ার্ডের গরীব অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে কুরবানীর গরু কুরবানীর মসলা সামগ্রী ও দিয়ে থাকেন। তাছাড়া এবছর ঈদুল আযহার সময় পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের খালিকনগর এলাকার অবসহায় দরিদ্রদের মাঝে একটি কুরবানীর গরু সহ মসলা সামগ্রী দিয়ে থাকেন এবং আলখানাপাড় কুরবানীর জন্য ২টি খাশি তার অর্থায়নে দিয়ে থাকেন। সমাজসেবী দানবীর আলহাজ্ব মো: সাজন মিয়া জানান, ছোট বেলা থেকেই এলাকার মানুষের বিভিন্ন সাহায্য তিনি এগিয়ে আসেন। তার মন সব সময় এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্টানের উন্নয়ন সহ অসহায় দরিদ্রদের কল্যাণে কাজ করা। তিনি জানান, আমি ৭মাস ধরে দেশে অবস্থান করে মহামারী করোনা ও বন্যা কালীন সময়ে জনসাধারনের পাশে থেকে তাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন এবছর খালিকনগর একটি গরু কুরবানী দিয়েছি। জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক কমিশনার মো: লুৎফুর রহমান আমাকে কুরবানী দেয়ার অনুপ্রেরনা জুগিয়েছেন। তিনি বলেন আমার এ ভাল কাজগুলোর পেছনে স্ত্রী ফাতেমা বেগম, ছেলে মো: সাফায়েত হোসেন তুহিন ও আমার মেয়েরা উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি তাদের আর্থিক সহযোগিতা রয়েছে। তিনি তার বাকী জীবন যেন এলাকার মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে পারেন সে জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply