হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া :-
জগন্নাথপুরে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ করার কথা ছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারী। নির্ধারিত সময়সীমার ৮দিন পেরিয়ে গেলেও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। গতকাল সোমবার পর্যন্ত জগন্নাথপুর উপজেলার মাটি ভরাটের কাজ ৯৫শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানাযায়, জগন্নাথপুরে হাওর রক্ষা বেড়িবাধের মাটির কাজ হয়েছে ৬৫ শতাংশের মতো।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পি আই সি) গঠন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যায়ে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের। এদিকে উপজেলার যে সব প্রকল্পের মাটি কাঁটার কাজ শেষ হয়েছে ঐ সব প্রকল্পে বাকী রয়েছে দুরমুজ দিয়ে মাটি শক্ত করা,ঘাস ও কলমি লাগানো। গত রবিবারের বৃষ্টি আর আকাশে মেঘ দেখে এখন শংকিত কৃষক। কৃষকেরা দাবী করছেন অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। কাজের মান নিয়েও রয়েছে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ। কোন কোন বাঁধের কাজ করা হয়েছে বালু মাটি দিয়ে যার ফলে বাঁধের কাজ হয়েছে দুর্বল। ৫, ৬,৭ নং পিআইসিসহ কয়েকটি বাঁধ বৃষ্টিতে কিছু অংশে ফাটল দেখা গেছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। এ অবস্থায় গত ২দিনের বৃষ্টিপাত আর আকাশে মেঘ দেখা দিলে উপজেলার কৃষক ও সাধারন মানুষের মনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ফসল হানির আশংকায় নিরঘুম রাত কাটছে উপজেলার কৃষকদের। পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, বৃষ্টির পর যে সব বেড়িবাঁধে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে সেগুলো সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন হাওর ঘুরে বড় ধরনের কোন ফাটল কিংবা ধসের ঘটনা চোখে পড়েনি। ছোট খাটো ত্রুটি পিআইসিদের বলা হয়েছে ঠিক করার জন্য। বাঁধ মেরামত কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড্র (পাউবো) কর্মকর্তারা জানান ,আমরা ঠিকমতোই বাঁধ মেরামত কাজের তদারকি করে যাচ্ছি। ৩৭ টি বেঁড়ি বাঁধের মধ্যে ২৬ টি বাঁধের মাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান বলেন বাঁধ মেরামত কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির কারন খোঁজে বের করে পিআইসির নোটিশ প্রদান করা হবে। তিনি আরো বলেন, বাঁধ মেরামতকাজে কোনো ধরনের গফিলতি করা হলে আমরা কাউকেই ছাড় দেব না। ঝুকিপূর্ন পিআইসির কাজ সার্বক্ষনিক তদারকি করে যাচ্ছি। আশা করি আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে সব কটি বাঁধের কাজ সমাপ্তি করতে পারবো। উপজেলার কৃষকরা বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করে বন্যায় ফসলহানির হাত থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।
Leave a Reply