মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর থেকে::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কাগজ-কলমে সপ্তাহের সাতদিনের ২৪ ঘন্টা খোলা দেখানো হয় কামার খাল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। কিন্তু বাস্তবে সপ্তাহের মাত্র দুইদিন খোলা পাওয়া যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। তাও আবার তাদের মনগড়া মতো খুলেন এবং মনগড়া মতো লাগিয়ে যান। প্রায় দিনই তালা ঝুলতে দেখা যায় এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে । উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ স্নিগ্ধা রানী দাস মেডিকেল অফিসার তিনি সিলেট থাকেন তার এহেন স্বেচ্ছাচারিতায় প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৪/৫ টি গ্রামের শত শত লোকজন। এতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার স্নিগ্ধা রানী দাশ সিলেটে থেকে তার কর্মস্থলে না এসে অনায়াসে বেতন ভাতা পাচ্ছেন । এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে (২৯ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন কামারখাল উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। কামার খাল গ্রামের জয়নাল আবেদীনের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে জানা যায় তিনি প্রায় সময় এই হাসপাতালে ডাক্তারদের চিকিৎসা কাজে সহযোগিতা করেন, তিনি বলেন ডাক্তার সাহেব সপ্তাহে দুই তিন দিন আসেন তবে আজকে ২টা বেজে গেলেও এখনও আসেননি।
সেবা নিতে আসা রুজিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, দুপুর গড়িয়ে গেল ম্যাডাম যে কখন আসবে জানি না আমি অপেক্ষায় আছি, কামারখাল গ্রামের মাওঃ আব্দুল হামিদ বলেন সপ্তাহে দু-একদিন এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি খোলা হলেও ১১টার আগে ডাক্তার আসেন না। আবার আসার দু’এক ঘণ্টা পর চলে যান। প্রায় সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ডাক্তার না পাইয়া নিরুপায় হইয়া বিনা চিকিৎসায় বাড়ি ফিরে যান।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বসবাসের জন্য সরকারিভাবে কোয়ার্টার বরাদ্দ ও বসবাসের পরিবেশ না থাকায় সেখানে থাকেন না অত্র কেন্দ্রর স্টাপ ও কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার স্নিগ্ধা রানী দাস। তবে তিনি সিলেট বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট চেম্বার খুলে রোগী দেখেন টাকার বিনিময়ে। এতে করে বর্তমান সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য স্বাস্থ্যসেবা মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এতসব অনিয়মের পরও এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার স্নিগ্ধা রানী দাস সরকারী বেতন ভাতাসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। তিনি নিজের খেয়াল খুশিমত কেন্দ্রে আসেন আবার নিজের ইচ্ছামত চলে যান।জগন্নাথপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধর বলেন, বিষয়টি আজকে শুনলাম তবে জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। বসবাসের জন্য সরকারিভাবে কোয়ার্টার বরাদ্দ ও বসবাসের পরিবেশ না থাকায় নিরাপত্তাহীনতার কারনে সেখানে থাকেন না অত্র কেন্দ্রর স্টাপ ও কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার স্নিগ্ধা রানী দাস। তিনি আরো বলেন এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সপ্তাহের ৬দিন খোলা থাকার কথা তবে এই কন্দ্রের মেডিকেল অফিসার কোভিড-১৯ ও সাময়িক অসুবিধার কারনে আসতে পারতেছেন না এখন থেকে নিয়মিত আসার ও কেন্দ্রটি খোলা রাখার ব্যবস্থা নেয়া হবে যাতে করে রোগীরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পায়।
Leave a Reply