ষ্টাফ রিপোটার::
নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামে কুর্শি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডব- গোপলার বাজার হতে কুর্শি শিকদার বাড়ি পর্যন্ত সড়কে ওই গ্রামের মিজানুর রহমান শিকদার ওরফে ছোটন শিকদার ও তার ভাতিজা সাংবাদিক সরোয়ার শিকদার রাস্তার ইট উটিয়ে ঘর নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামবাসী ঘর নির্মাণ কাজে বাঁধা নিষেধ করলেও তারা চাচা- ভাতিজা নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন। ফলে বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের উল্লিখিত সড়কটি অনেক পুরাতন একটি সড়ক। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে এডিপি সাধারণ বরাদ্দের আওতায় কুর্শি মডেল সরকারি ডব টু গোপলার বাজার সড়ক হতে সিকদার বাড়ি পর্যন্ত ইট সলিং দ্বারা রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। যা দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে ও মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করে। এখানে একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও একটি মোকামে যাওয়ারও এটি একমাত্র সড়ক। গত ৩/৪ দিন ধরে কুর্শি গ্রামের মৃত ছনোয়ার শিকদারের পুত্র মিজানুর রহমান শিকদার ওরফে ছোটন শিকদার ও তার ভাতিজা আনফর শিকদার ওরফে ছুনু শিকদারের পুত্র সরোয়ার শিকদার ওই রাস্তার উপর বেআইনি ভাবে ঘর নির্মাণ শুরু করে। গ্রামবাসী ঘর নির্মাণে বাঁধা নিষেধ করলে গ্রামবাসীর কথা অমান্য করে ঘর নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখে। সড়কটি বন্ধ হয়ে গেলে গ্রামবাসীর চলাচলের মারাত্বক অসুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া গ্রামবাসী তাদের অভিযোগে জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম ফলকও রাতের আঁধারে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ ব্যপারে গ্রামের আব্দুল বাছিত চৌধুরী, মো: জামাল আহমেদ, তোফায়েল আহমদ সায়েদ, জয়নাল আবেদীনসহ গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বিরা গতকাল সোমবার (২১ জুন) সকালে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে চেয়ারম্যানের নির্দেশে জেলা পরিষদের প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একদল লোক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এর সত্যতা পান। এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন গ্রামবাসীকে। এদিকে ঘর নির্মাণকারীরা নিজেদের বাঁচাতে ও গ্রামবাসীদের রোষানল থেকে বাঁচতে বিভিন্ন জায়গায় দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন।
Leave a Reply