আলা উদ্দিন দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামে ৫ সন্তানের জননীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বামী মো. কবির উদ্দিনের দায়ের কোপেঁ গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রীর প্রেমিক। আহতের নাম মো. আমিরুদ্দিন(৩২)। সে রাজনপুর গ্রামের নাজির
উদ্দিনের ছেলে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজনপুন গ্রামের জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে জাহাঙ্গীরের
মার্কেটের সামনে স্ত্রীর প্রেমিক আমিরুদ্দিনকে দেখে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা হাজেরার স্বামী কবির মিয়া দা হাতে নিয়ে আমিরুদ্দিনের গলায় কোপ মারে।তাৎক্ষণিক সে অধিক রক্তখননে সে মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে সিএনজিযোগে প্রথমে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড়বছর পূর্বে কবির উদ্দিনের স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী হাজেরা বেগম(৩৫) এর সাথে একই গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে বিবাহিত আমিরুদ্দিনের পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে হাজেরার সাথে আমিরুদ্দিনের অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন হয়। ঘাতক কবির মিয়া রাজনপুর গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে দোহালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুর মিয়া জানান,আমিরুদ্দিন
এবং হাজেরার মধ্যে দীর্ঘদিনের একটি অবৈধ সম্পর্কের জেরে তারা উভয়েই এক পর্যায়ে ঘর
বাধাঁর স্বপ্নে বিভোর হয়ে আমিরুদ্দিনের হাত ধরে হাজেরা ঢাকায় পাড়ি জমায়। প্রায় একবছর
ঢাকায় অবস্থান শেষে গত পাচঁ মাস পূর্বে আমিরুদ্দিন ও হাজেরা নিজের গ্রামের বাড়ি
রাজনপুরে চলে আসেন। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বসে এবং যেহেতু ঐ নারী পালিয়ে
গিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে তখন সালিশ ব্যক্তিরা আমিরুদ্দিনের উপর আর্থিক জরিমানা করে
বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়। কিন্তু তারপরেও ঐ নারীর সাবেক স্বামী মো. কবির উদ্দিন স্ত্রী হাজেরার
বর্তমান স্বামী আমিরুদ্দিনকে দেখে সহ্য করতে না পেরেই এমন হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটায়।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে
জানান,পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
Leave a Reply