মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বিভিন্ন বাজার, শপিংমল ও ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আজ ১০ মে সোমবার জগন্নাথপুরের বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে জগন্নাপুর বাজারের শপিংমল ও রাস্তা সংলগ্ন ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত কেনাকাটার ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
পবিত্র ঈদুল ফিতরে আনন্দ উৎসবের জন্য প্রতিটি পরিবারের ছেলে মেয়েদের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন জামা কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সব শ্রেণীর পেশার মানুষ। কেউ নিজের জন্য না কিনে পরিবারের সদস্যদের জন্য আবার কেউবা আত্মীয়-স্বজন বা প্রিয়জনের জন্য করছেন কেনাকাটা।
জগন্নাথপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানাযায় রোজার শেষ সময়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পোষাক বিক্রির সাথে সাথে ঈদে আনন্দ উৎসব করতে মেহেদীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানে বেচা কেনা আশানুরূপ হওয়ায় তারা খুশি।
গত বছর ঈদে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও লকডাউনের জন্য দোকান গুলো বন্ধ থাকার কারনে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে তবে গত বছরের তুলনায় এবছর কিছুটা কমেছে।করোনার প্রভাব বাড়ার পর আবার কিছু কমে আসায় এবং গণপরিবহন চলাচল করায় এবার আশানুরূপ কেনা বেচা করতে পারছেন দোকানিরা।
জগন্নাথপুরের সবজির বাজার থেকে পৌর পয়েন্টের সামনের ফুটপাতে দেখা যায় বেশীরভাগই নিম্ন আয়ের প্রচুর ক্রেতা সমাগম। তবে ঈদে মার্কেট ও ফুটপাতে ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যে ভাবে লোকজন ভীড় করছেন কাপড়ের দোকানে তেমনি ভাবে ভীড় জমাচ্ছেন বাজারের জুতার দোকান গুলোতে।
জুতা বিক্রেতা ছাদিক মিয়া বলেন, বেচা কেনা মোটামুটি ভালো চলছে।যাতায়াতের জন্য গণ পরিবহন চালু হওয়ার পর বেচা কেনা বেড়েছে। গোডাউনে অনেক টাকার জুতা পড়ে আছে। বেচা কেনা আপাতত যে ভাবে আছে সেই ভাবে থাকলে ঈদের আগে গোডাউনের সব জুতা বিক্রয় করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাহারা মার্কেট গুলোতে কেনাকাটা করছেন।জগন্নাথপুরে কেনাকাটা করতে আসা এক গৃহিনী বলেন পরিবারে ছেলে মেয়ে আছে তাদের জন্য সামান্য জিনিস পত্র কাপড় ছোপড় কিনতে আসলাম। কেউ মাস্ক পড়ছে আবার কেউ পড়ছেনা এদেখে মনে খুব খারাপ লাগছে।
তবে গত বছরের তুলনায় এবছর বেচা কেনা ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের পচন্দের কাপড় ও সাইজ মতো জামাকাপড় দিতে পারছেননা বিক্রেতারা।
অঙ্গশ্রী বস্ত্রালয়ের এক বিক্রয়কর্মী বলেন এবার বিভিন্ন ডিজাইনের নতুন জামা কাপড় ও পাঞ্জাবী এসেছে। বেশীরভাগই স্টক শেষ হয়ে গেছে। অনেক কাস্টমারের সাইজ ও পছন্দের জামা দেওয়া যাচ্ছেনা।
মার্কেটগুলোতে প্রবেশকালে জীবানুনাশক হাতে দেওয়ার প্রবনতা নাই। এছাড়া বেশীরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। আবার অনেকেই মাস্ক পড়ে আসছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে অনেকেই এড়িয়ে যান। মাস্ক পড়ার প্রবনতা কম থাকলেও সামাজিক দুরত্ব বজায় নাই বল্লেও চলে। প্রতিটি দোকানে দেখা যায় প্রচুর ভীড়। ভীড় দেখে অনেক ক্রেতা বাইরে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতেও দেখঅ যায়। দোকানীরা বলছেন আমরা যত সম্ভব দ্রুত ক্রেতারদের সেবা দিতে সাধ্যমত চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে দেখা যায় মার্কেটগুলো থেকে ফুটপাতে ক্রেতার উপস্থিতি বেশী। সহিবুর নামের এক বিক্রেতা বলেন, লকডাউনের কারনে ইদানিং মার্কেটগুলোতে ক্রেতার ভীড় কম দেখা যাচ্ছে এবং কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতাও কমে গেছে। এজন্য ফুটপাতে গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা দিয়েছে ।
Leave a Reply